স্যাম্পল এর সংজ্ঞাঃ

উৎপাদন চলাকালীন সময়ে উৎপাদনের মান যাচাই করার জন্য কিছু সংখ্যক উৎপাদিত দ্রব্যকে নির্বাচন করে পরীক্ষা করা হয়, যা দ্বারা সমগ্র পপুলেশনের গুণাবলী সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যায় এবং বাছাইকৃত বা নির্বাচিত নমুনাটি সমগ্র নমুনার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে, তাকে নমুনা বলে।

স্যাম্পল এর শ্রেণী বিভাগ

পোশাকশিল্পে বিভিন্ন প্রকার নমুনার শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলোঃ

১। অ্যাপ্রুভাল স্যাম্পল

২। কাউন্টার স্যাম্পল

৩। সেলসম্যান স্যাম্পল

৪। ফ্যাশন শো স্যাম্পল

৫। প্রোডাকশন স্যাম্পল

৬। শিপমেন্ট স্যাম্পল

১। অ্যাপ্রুভাল স্যাম্পলঃ একজন ক্রেতা কোন জিনিস ক্রয় করার পূর্বে তৈরি কারক কে প্রাথমিক অবস্থায় যে স্যাম্পল তৈরি বা প্রস্তুত করতে বলে, তাকে অ্যাপ্রুভাল স্যাম্পল বলে। পোশাকশিল্পে অ্যাপ্রুভাল স্যাম্পলের ক্ষেত্রে ক্রেতা শুধু জানতে বা বুঝতে চায় তৈরিকারক জিনিসটি ঠিকমতো তৈরি করতে পারছে কিনা। তাই এক্ষেত্রে স্যাম্পল তৈরি করার জন্য সঠিক মালামাল না হলেও চলে, তবে পোশাকের স্যাম্পলটিকে এর সঠিক মাপ ও সেলাই এর গুণগত মান সঠিক রেখে সুন্দরভাবে তৈরি করতে হয়, যাতে ক্রেতা দেখে পছন্দ করে এবং ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।

 

২। কাউন্টার স্যাম্পলঃ এক্ষেত্রে তৈরিকারককে অবশ্যই সঠিক কাপড় ও ক্রেতার নির্দেশ অনুযায়ী আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ব্যবহার করে পোশাকটি তৈরি করতে হয় যাতে ক্রেতা দেখে বুঝতে পারেতিনি যে জিনিসটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন তার সঠিক রুপায়ন হচ্ছে। এখানে ক্রেতা কাপড় থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে থাকেন। ক্রেতা যদি মনে করেনতিনি যা চেয়েছিলেন তা পাবেনতাহলে তিনি বাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে উৎপাদন করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।


৩। সেলসম্যান স্যাম্পলঃ এই স্যাম্পল গুলো কাউন্টার স্যাম্পল এর মতো করে তৈরি করা হয়ে থাকে। ক্রেতা যে-সব দোকানে বা স্টোরে মাল বিক্রি করে থাকেনসেসব দোকানে এক বা দুই পিস করে নমুনা হিসাবে দিয়ে থাকেনযাতে দোকানের মালিকরা বুঝতে পারেনতাদের দোকানে বিক্রির জন্য কি ধরনের মালামাল আছে।


৪। ফ্যাশন শো স্যাম্পলঃ এই স্যাম্পল গুলো কাউন্টার স্যাম্পল এর মত করে তৈরি করা হয়ে থাকে। ক্রেতা এগুলো নিয়ে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ফ্যাশন শো করে থাকেন। ফলে ফ্যাশন শো দেখে সাধারণ ক্রেতাদের পছন্দ হলে তারা পোশাকগুলো ক্রয় করার জন্য দোকানে যোগাযোগ করে থাকেন।


৫। প্রোডাকশন স্যাম্পলঃ উৎপাদন চলাকালীন অবস্থায় ক্রেতা কিছু উৎপাদিত দ্রব্য (পোশাক) সংগ্রহ করে থাকেনযা থেকে তিনি বুঝতে চেষ্টা করেনতার অর্ডার দেয়া মালামালের গুণগত মান কেমন হচ্ছে বা ঠিক আছে কিনা।


৬। শিপমেন্ট স্যাম্পলঃ উৎপাদন শেষ হওয়ার পর উৎপাদিত দ্রব্য (পোশাক) প্যাকিং করে শিপমেন্ট করা হয়। শিপমেন্ট করার সময় নমুনা হিসেবে দুটি বা তিনটি পোশাক ক্রেতার নিকট পাঠানো হয়যাতে ক্রেতা বুঝতে পারেন কি ধরনের মালামাল তার জন্য জাহাজে আসছেএ ধরনের নমুনাকে শিপমেন্ট স্যাম্পল বলা হয়।




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.